, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ই-পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি বাদ দেয়া দুঃখজনক: ড. মোমেন 

  • আপলোড সময় : ৩১-০৫-২০২৪ ০৭:১৩:৫৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-০৫-২০২৪ ০৭:১৩:৫৯ অপরাহ্ন
ই-পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি বাদ দেয়া দুঃখজনক: ড. মোমেন 
এবার ই-পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি বাদ দেয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। জানিয়েছেন, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ তার সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এ পরিবর্তন করেছে।

পাসপোর্টকে আরও মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করেছে বলে তাকে অবহিত করা হয়। এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদে আজ শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে এ মন্তব্য করেন সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিতর্কের বিষয় ছিল, ‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে’। এতে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নয়। তাই আরব বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ব্রাজিলের মতো নন-মুসলিম দেশ ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করলেও কোনো মুসলিম রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ওআইসি ও আরব লিগ একাধিকবার বৈঠকে বসলেও তারা ইসরায়েলি পণ্য বয়কটে এক হতে পারেনি। ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের কোনো বাণিজ্যিক সম্পর্ক না থাকলেও তাদের ও তাদের মিত্রদের অনেক পণ্য আমাদের দেশে বিক্রি হচ্ছে।

এ সময় জাতিসংঘের সমালোচনা করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেছেন, জাতিসংঘের নিজস্ব শক্তি বলতে কিছু নেই। পাঁচটি মোড়ল রাষ্ট্রের ওপর তারা নির্ভরশীল। ১৫ হাজার শিশুসহ ৩৬ হাজার মানুষকে হত্যার পরও মানবতার ফেরিওয়ালারা ফিলিস্তিনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনো ভূমিকা রাখেনি। পশ্চিমাদের বাদ দিয়ে আরব বিশ্ব এক হলেও ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এ সময় সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে সমর্থন করা নিয়ে কোনো বিভক্তি নেই। সবাই ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিনিদের লড়াই একক কোনো লড়াই নয়। এ লড়াই সারা পৃথিবীর মানুষের লড়াই। ফিলিস্তিনের মানুষের যে নিরব কান্না, তা সারা বিশ্বের বিপন্ন আর্তমানবতার চিৎকার। গাজায় যে হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নৃশংসতা ও অমানবিকতা ঘটেছে, তা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় কালো অধ্যায়।
সর্বশেষ সংবাদ